দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: যোগেশচন্দ্র আইন কলেজ মামলায় এবার নতুন মোড়। বড় দাবি করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কি বক্তব্য তাদের? শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হলো যে যে ব্যক্তি পুজো করা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছেন, শ্রী অর্ক নাগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ নন। এমনটি স্পষ্ট জানিয়েছেন সংগঠনের দক্ষিণ কলকাতা জেলার সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “যিনি সরস্বতী পুজো করা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করতে গিয়ে দাবি করেছেন যে তিনি যোগেশচন্দ্র কলেজের আইন বিভাগের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি, সেই অর্ক নাগ দলের কেউ নন। কোন ইউনিটই নেই সেই কলেজের তাহলে তার সভাপতি কোথা থেকে আসে? ইউনিট যাতে তৈরি হয়, তার জন্য আলোচনা চলছে বিধায়ক, সাংসদ ও অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।”

উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত কলেজে বহিরাগতরা প্রবেশ করে অশান্তি থেকে। এক ছাত্রীর তরফ থেকে এমন অভিযোগ তোলা হয়। জানা গিয়েছে দুই কলেজ দুটি আলাদা জায়গায় প্রত্যেক বছর পুজো করে। কিন্তু এই বছর এমনভাবে একটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে পুরনো থেকে নতুন ভবনে যাওয়ার রাস্তায়, তাতে ল কলেজের পড়ুয়াদের ক্লাসে ঢুকতে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, পুজোতে বহিরাগতদের তরফ থেকেও বাধা আসছে বলে অভিযোগ। এমনকি এক টিএমসিপি নেতা সাব্বির আলি ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপরই অভিযোগ দায়ের হয় থানায় এবং মামলা করা হয় আদালতে। সেখান থেকে মামলা নেয় এই মোড়।